প্লে/কেজি থেকে চতুর্থ শ্রেণী
১। প্লে/কেজি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরত্বারোপ: আমাদের সিলেবাস ও পদ্ধতিতে চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী গতানুগতিক ধারার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একটি শিশুর সমপরিমান বাংলা ও ইংরেজি শিখতে পারবে ইন শা আল্লাহ। এ সময়ে পাঠ দান হবে বাংলা মাধ্যমে। শিশুদের জন্য মাতৃভাষা ছাড়া ভিন্ন ভাষাকে বলে সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ। শিশুর শৈশবের পাঠ যদি সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ মিডিয়ামে আরম্ভ হয়, তখন মাতৃভাষা তার আবেদন হারাতে বাধ্য।
২। তৃতীয় শ্রেণীর মধ্যেই একটি শিশুকে কুরআন মাজীদ সহীহ-শুদ্ধ করণের মাধ্যমে হিফজের সম্পূর্ণ উপযোগী করে গড়ে তুলা। পাশাপাশি শিশুদের উপযোগী করে কুরআনের ভাষা শিক্ষা দান; চতুর্থ শ্রেণীতে একজন শিক্ষার্থী নির্বাচিত আয়াত ও সুরা মুখস্থের পাশাপাশি পুরো কুরআন মাজীদ মুখস্থের মতো করে বারংবার পড়বে এবং কুরআন মাজীদের ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাও অব্যাহত রাখবে।
৩। কেজি থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিশুদেরকে গল্পে গল্পে আকীদাহ, সীরাত, হাদীস শিক্ষাদান। পাশাপাশি আদাব-শিষ্টাচার, মাসআলা ও দুয়া মাসুরা ইত্যাদির অনুশীলন।
৪। কেজি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি, গণিতসহ সাধারণ জ্ঞাণসমূহকেও গুরুত্বের সাথে পাঠদান।
৫। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত মারকায একটি সমন্বিত সিলেবাস অনুসরণ করে। চতুর্থ শ্রেণীর পর একজন অভিভাবকের সামনে স্কুল ও মাদ্রাসা-উভয় দরজা খোলা। অর্থাৎ অভিভাবক সন্তানের ট্যালেন্ট ও আগ্রহের উপর ভিত্তি করে স্কুল কিংবা মাদরাসার পরবর্তি ক্লাসে পড়াতে পারেন কোনো ইয়ার-লস ছাড়াই । পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের জন্য তাই একটি টার্ণিং পয়েন্ট। ইন শা আল্লাহ,আমাদের শিক্ষার্থীরা সর্বত্র কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে ইন শা আল্লাহ।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
পরীক্ষা ও পাঠদান পদ্ধতি
করোকালীন দিনগুলোতে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে অনলাইন/অফলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। দারস নিবেন শুধুমাত্র নারী উস্তাদাগণ। এক বছরে দুটি সেমিস্টার। একেকটি সেমিস্টারে একেকটি মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ক্লাস সময়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক/মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা তো থাকছেই। ইন শা আল্লাহ।