মাদানী নেসাব
১। পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু মাদানী নেসাবের সিলেবাস। মাদানী নেসাব হচ্ছে মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ হাফিজাহুল্লাহ প্রণিত যুগোপযোগী কারিকুলাম, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সবচেয়ে সহজতর পদ্ধতিতে আরবি শিখতে পারে এবং কুরআন-হাদীস বুঝতে পারে। মাদানী নেসাবে একজন শিক্ষার্থী সাত বছরে দাওরা হাদীস সম্পন্নের মাধ্যমে আলিমা হয়ে যেতে পারে, এবং প্রথম তিন বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ বুঝতে সক্ষম ইন শা আ আল্লাহ।
২। আমাদের কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা মাদানী নেসাবে তিন বছর অধ্যায়নের পর ভর্তি হবে হিফজ বিভাগে। ইতিমধ্যে কুরআনের সমস্ত শব্দ ও বাক্য-কাঠামো তার আয়ত্বে থাকায় সে এক বছরের মধ্যেই হিফজ সম্পন্ন করতে পারবে ইন শা আল্লাহ। এতে করে তার সময় বাঁচবে, কুরআন মাজীদ বুঝে বুঝে পড়ার ফলে হিফজের সময় অন্য রকম মজা অনুভব করবে।
৩। হিফজ শেষে শিক্ষার্থীরা মাদানী নেসাবের বাকি চার বছর অধ্যায়ন করে দাওরা সমাপ্ত করবে ইন শা আল্লাহ।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
- শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য ও নারী শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান
- আবাসিক, অনাবাসিক ও ডে-কেয়ার ব্যবস্থা
- ক্লাসের বাইরে কোনো টিউশন বা কোচিংয়ের জন্য স্বতন্ত্র কোনো ফি নেই।
- শিক্ষিকার নিবিড় তত্ত্বাবধানে যে কোনো সময় যে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসের পড়া পুনরায় বুঝে নিতে পারে;
- শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক গ্রুপস্টাডি, যা শিক্ষার্থীর মেধাকে তীক্ষ্ণ করে এবং প্রেজেন্টেশনকে শাণিত করে;
- শুধু শিক্ষা নয়, দীক্ষা ও তারবিয়াতের পরিবেশ সুনিশ্চিত করা;
- দ্বীনি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ, তবে জাগতিক শিক্ষাকে উপেক্ষা নয়;
- পাঠের পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে সুস্থ বিনোদন ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা;
- সাহিত্য পাঠ, পাঠপর্যালোচনা, লেখা-লেখি, বক্তৃতা ও বিতর্কের আয়োজন;
- ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামজিক জীবনে আচার-আচারণ, মানবীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির পরিচর্যা;
- দৃঢ় মনোবল, আত্মমর্যাদা বোধ ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি সেবা ও দাওয়ার মনোভাব সৃষ্টি;
- মাতৃ ভাষার পাশাপাশি সর্বোচ্চ আরবীর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং ইংরেজিতেও ইম্পর্টেন্স প্রদান;
- শুধু পরীক্ষা নয়, শিক্ষার্থীর আখলাক, যোগ্যতা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য;
- কুরআন-সুন্নাহর আদর্শকে ধারণ করে দেওবন্দের আদলে ও মাদানী নেসাবের অনুকরণে প্রতিষ্ঠিত মারকায;
- সামাজিক আচরণে ও জাগতিক জ্ঞানে মারকাযের শিক্ষার্থীরা মোটেই পিছিয়ে থাকবে না ইন শা আল্লাহ;
- উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা;
- মারকাযের উস্তাদা, পরিচালক, কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন মাদরাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পেশার অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। ফলে কারিকুলাম প্রণয়নে দ্বীন ও দুনিয়া উভয় বিষয়েই আমরা সচেতনতার পরিচয় দিতে সচেষ্ট থেকেছি। বস্তুত দ্বীন সম্পর্কেও সচেতন ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে দুনিয়া সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে পারে না; কেননা দুনিয়াতে চলার পথ ও পদ্ধতি আমাদের দ্বীন থেকেই শিখতে হবে।
- মারকাযের শিক্ষার্থীদেরকে মানসম্মত পরিবেশ প্রদান ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনে আমরা সংকল্পবদ্ধ।
Requirement
Lesson